
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে, বিশেষ করে সিরিয়ায় ইসরায়েলের সামরিক হামলার কারণে। সম্প্রতি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এটিকে ‘সম্প্রসারণমূলক মনোভাবের প্রতিফলন’ বলে উল্লেখ করেছেন। এই মন্তব্য তিনি করেছেন মঙ্গলবার (৪ মার্চ) মিশরে অনুষ্ঠিত এক জরুরি আরব সম্মেলনের ফাঁকে।
গত ডিসেম্বর সিরিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশটিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইসরায়েল সিরিয়ার গোলান মালভূমির দখল আরও সম্প্রসারিত করে এবং ১৯৭৪ সালের বিচ্ছিন্নকরণ চুক্তি লঙ্ঘন করে সিরিয়া-ইসরায়েল সীমান্তের নিরপেক্ষ বাফার জোন দখল করে নেয়। ইসরায়েল দাবি করছে যে এই আগ্রাসন তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন, কিন্তু প্রেসিডেন্ট আল-শারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে এটি মূলত দখলদারিত্বের পরিকল্পনারই অংশ।
সম্প্রতি ইসরায়েল সিরিয়ায় শতাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল সামরিক স্থাপনা, যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ঘাঁটি। এসব হামলার ফলে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বড় ক্ষতি হয়েছে। শারাআ এই হামলাগুলোর সমালোচনা করে বলেন, “ইসরায়েল পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে এবং মিথ্যা নিরাপত্তা শঙ্কার অজুহাতে আগ্রাসন চালাচ্ছে।” তবে তিনি সিরিয়ার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কিছু বলেননি, বরং ইঙ্গিত দিয়েছেন যে এটি প্রকাশ করা হবে না।
আহমেদ আল-শারা এই বক্তব্য এবং ইসরায়েলের চলমান সামরিক পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় নতুন সরকার কিভাবে আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবিলা করবে এবং ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের জবাব দেবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে আরব বিশ্বের একতা এবং সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব রক্ষা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি