Recent News

এনসিপি  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতার বিরুদ্ধে নানা  দুর্নীতির অভিযোগ।

Table of Content

 প্রথম পর্ব।
৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর বাংলাদেশ ড.ইউনুসকে প্রধান করে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
৫ আগষ্ট পরে ১০ মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের নিয়ে গঠন করা নবগত দল এনসিপির একাধিক  নেতার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের দুর্নীতি তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তারা শতশত কোটির টাকা এবং গাড়ির মালিক।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব পদ থেকে সালাউদ্দিন তানভীরকে সাময়িক অব্যাহতি পাওয়া। জেলা প্রশাসক নিয়োগ ও এনসিটিবির বই ছাপার কাজে ‘কমিশন বাণিজ্য’ করে ঢাকায় ৩ তিনটি ফ্লাট বাড়ি কিনেছে। ব্যাংক একাউন্ট কোটি কোটি লেনদেন তথ্য পাওয়া গিয়েছে।  এনসিটিবির এক নাম না প্রকাশ করা কর্মকর্তা জানায় যে, টাকার বিনিময়ে এনসিটিবির বই আওমীলীগ এক নেতার কাজ দেন। সরকার বিভিন্ন পদে নিয়োগ বাণিজ্য থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
বিশেষ করে তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক নিয়োগে প্রভাব বিস্তার এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে কেনাকাটায় কমিশন বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে বলে জানা গেছে।
গাজী সালাউদ্দিন তানভীর এক সময় ছাত্র সমন্বয়ক ছিলেন। এখন সে রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ পদধারী নেতা। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের অবশ্যই কিছু সত্যতা রয়েছে।  দুর্নীতিবাজ ক্যাডার কর্মকর্তাদের সম্পর্কে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তদবির বাণিজ্যের মাধ্যমে গাজী সালাউদ্দীন ইতোমধ্যে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার এবং গৃহায়নসহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় গাজী সালাউদ্দিনের তদবিরে অতিষ্ঠ ছিল। সর্বশেষ  তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে তাকে একান্তে আলোচনা করনে। সচিবালয়ে ৬নং ভবনের নিচে সাঙ্গপাঙ্গসহ দীর্ঘ সময় অবস্থানের পর বিকালের দিকে বেরিয়ে যান। গাজী সালাউদ্দিন দাবি করেন, তিনি জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়ক।
তবে অভ্যুত্থানের প্রভাব খাটিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশের পাশ হাতিয়ে নেন তিনি। প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে প্রবেশের সুযোগে সেখানে নিজের একটি বলয় গড়ে তোলেন সালাউদ্দিন। বিশেষ করে বিভিন্ন ব্যাচের কিছু দুর্নীতিবাজ ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে। গত বছর ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর একসঙ্গে ৫৩ জেলায় ডিসি (জেলা প্রশাসক) নিয়োগ দেওয়া হয়। অসাধু কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সুযোগ নেন সালাউদ্দিন। ওই নিয়োগে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ সত্যতা পাওয়া গেছে। সে সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখায় কর্মরত বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা, যুগ্মসচিব কেএম আলী আজম এবং ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের কথা শোনা যায়। ড. জিয়াউদ্দিনের কক্ষে তিন কোটি টাকার ব্যাংক চেক পাওয়া যায়। ওই টাকা ডিসি নিয়োগের জন্য অগ্রিম হিসাবে তাকে দেওয়া হয়েছে বলে প্রচার হয়। এ দুই কর্মকর্তার সঙ্গে গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের গভীর সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে ঘটনার সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।
এছাড়া জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোডের্র কাগজ সরবরাহে ৪শ কোটি টাকা কমিশন নেওয়ার  নেন তানভীরের ।
এসব অর্থ এনসিপি বিভিন্ন অনুষ্ঠান খরচ করা হয়।

Tags :

News Desk

http://July_36News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Popular News

Recent News

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit.

© 2025 newsus. All Rights Reserved by BlazeThemes.